র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা ড. বেনজীর আহমেদকে পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং সিআইডি-প্রধানের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনজীর আহমেদ দেশের ৩০তম আইজিপি। বর্তমান আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর মেয়াদ আগামী ১৩ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। জাবেদ পাটোয়ারীর স্থলাভিষিক্ত হলেন বেনজীর।
র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেয়ার আগে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বেনজীর আহমেদ ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন। ১৯৮৮ সালে সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি কিশোরগঞ্জ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীন ঢাকা উত্তর, পুলিশ একাডেমি, পুলিশ সদর দফতরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
অন্যদিকে, ১৯৬৪ সালের ১২ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের শ্রীহেলা গ্রামের মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শ্রীহাইলে। ১৯৮২ সালে বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন। গত বছরের মে মাসে তিনি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন।
কর্মজীবনে আবদুল্লাহ আল মামুন পুলিশ সদর দপ্তর, মেট্রোপলিটন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ করার মাধ্যমে তিনি বিশ্ব শান্তিরক্ষার জন্য উজ্জ্বল অবদান রেখেছেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর সার্কেল এএসপি, সিরাজগঞ্জের রাইগনজ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সার্কেল এএসপি, চাঁদপুরের অতিরিক্ত এসপি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিএমপি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এএসপি, এডিসি (ডিএমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নীলফামারী জেলার সুপারিনটেনডেন্ট পুলিশ (ডিপি), ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), এআইজি (এস্টাবলিশমেন্ট) এবং ঢাকা সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজি হন।
অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।